এখনও পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি প্রায় দেড়শ টাকা। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ দেশবাসী।
এদিকে, বাজারে দাম বেশি থাকায় সারাদেশের ন্যায় যশোর জেলার কেশবপুরের চাষিরাও চলতি বছরে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন।
কেশবপুরের থানার মোড়ে প্রতি হাটবারে ভাতি পেঁয়াজ (পেঁয়াজের চারা) কিনতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে।
সরেজমিনে বাজারে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাঠ পেঁয়াজ থেকে উৎপাদিত এই সকল ভাতি পেঁয়াজ ঝুড়িতে করে বিক্রি করতে উপজেলার মঙ্গলকোট, লক্ষিনাথকাটি, মজিদপুর, মির্জানগর, সাতবাড়িয়া, বায়সা, আলতাপোল (আংশিক) ও মনিরামপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নের হাসাডাঙ্গা থেকে বিক্রেতারা এসেছেন। তারা খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
বিক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এক কাঠা জমিতে ১২/১৩ কেজি ভাতি পেঁয়াজ রোপন করলেই হবে।
এ পেঁয়াজ হাটের দায়িত্বে থাকা মিন্টু নামের একজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পহেলা পৌষ হতে এখানে ভাতি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে এবং এর বিক্রি ১৫ ফাল্গুন পর্যন্ত চলবে।
এ বাজারে উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রাম থেকে ভাতি পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করব। এ কারণে ভাতি পেঁয়াজ কিনতে এখানে এসেছি। প্রতি কেজি ভাতি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা করে নিয়েছে।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা থেকে আসা রসুল বলেন, আমার এক কাঠা উঁচু জমির জন্য ১৩ কেজি পেঁয়াজের চারা কিনলাম। এবার পেঁয়াজের যে দাম, তাতে খেতে না লাগিয়ে উপায় নেই।
আব্দুর রহিম ও রসুল ছাড়াও এদিন পেঁয়াজ কিনতে আসা বুড়িহাটির কামাল হোসেন, সুফলাকাটির আড়ুয়ার ইলিয়াস হোসেন, পাঁজিয়ার নারায়ন কুণ্ডুর সাথে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে তারা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। যার যেটুকু উঁচু জমি আছে সেখানেই এবার পেঁয়াজের চাষাবাদ করবেন।
তারা আশা করছেন, এই ভাতি পেঁয়াজ চাষের মধ্য দিয়ে আগামীতে ঊর্ধ্বমুখি পেঁয়াজের দামের লাগাম টেনে ধরতে পারবেন।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, ২০২০ সালে কেশবপুর উপজেলা জুড়ে ২০ হেক্টর জমিতে ভাতি পেঁয়াজ ও ৪০ হেক্টর জমিতে কাঠ পেঁয়াজ চাষাবাদ করা হয়েছিল।
চলতি বছরে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ পেঁয়াজ চাষাবাদ হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।